

নিউজ ডেক্স..
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার দাসনাই পাড়া গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক মোল্লা ও তার ছোট ছেলে জিয়াউল হক মোল্লা সমাজে অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়ায়, যার লিডার তার বাবা আব্দুল মালেক মোল্লা। এমন অভিযোগ উঠেছে আব্দুল মালেক মোল্লার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালেক মোল্লার ছেলেরা মাদক থেকে শুরু করে নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন কাজে জড়িত। তারা কোন কাজে দোষী প্রমাণিত হলে অর্থের বিনিময় মীমাংসা করেন আব্দুল মালেক মোল্লা।
এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা – মামলা হুমকি-ধমকি দিয়ে হেনস্তা করে থাকেন মালেক মোল্লা। যার জন্য কেউ সহজে প্রতিবাদ করেনা মানসম্মানের ভয়ে। আব্দুল মালেক মোল্লা বিগত কয়েক বছর আগে শান্তির বাজার সংলগ্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের হিন্দু বাড়ির অজুন দাসের স্ত্রী সুমতি রানী দাস গৃহবধুকে ধর্ষণ করেন যাঁর বিচার এখনো পায়নি নির্যাতিত গৃহীতা। তার ছোট ছেলে জিয়াউল হক মোল্লা নিজ এলাকায় আতাউর রহমানের ছেলে খোকনের বউয়ের গোপন ভিডিও তৈরি করে গৃহবধূকে অনৈতিক প্রস্তাব এবং ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলাও রয়েছে। গত কয়েক বছর আগে নিজ এলাকায় মৃত শফিক পুলিশের ছোট ছেলে বিল্লাল হোসেন কে হত্যা করার উদেশ্যে হামলা করে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়। এসব বিষয়ে গ্রামের সবাই অবগত রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের পরিবারবর্গের উপর নির্যাতন করে এবং তাদের পরিবারের মেয়ে বা গৃহবধুর উপর নির্যাতন করে মালাক মোল্লা ও তার পরিবার।
এতে শেষ নয় মালেক মোল্লা ঢাকা ফকিরাপুল ২২২ নাম্বার বিল্ডিং এ মালেক মোল্লা শারীরিক সম্পর্কের জন্য নিয়মিত নারী নিয়ে যাতায়াতে ছিলেন। এবং এবং কুমিল্লা ঝিনুক হোটেলে নিয়মিত নারী যৌনকর্মীদের কাস্টমার ছিলেন তিনি।
তবে মালেক মোল্লার বিষয়ে মনোয়ারা নামের এক নারী বলেন, তিনি নিয়মিত আমার কাছে আসতেন এবং আমাকে কিছু টাকাও দিয়ে যেতেন, যাতে করে কাউকে কিছু না বলি। গত ৩/৪ মাস আগেও তাদের পুকুর পাড়ে সন্ধ্যার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি। আমি রাজি না হলে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে মারার জন্য হুমকি দেয়। আমি ভয় তারপর প্রস্তাবে রাজি হই।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক, এক ব্যক্তি বলেন, কিছুদিন আগে শান্তির বাজার মালিক ভরসা নামে একটি বেকারি চুরি হয়। জানা যায়, মালেক মোল্লার ছেলে জিয়া মোল্লার নেতৃত্বে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মালেক মোল্লা দুই লক্ষ টাকা জরিমানা ও দিয়েছেন। এবিষয়ে নাঙ্গলকোট থানা মামলা রয়েছে। এদের কর্মকান্ডের অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এদের আসল রুপ উম্মচন করা উচিত মনে করেন। এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এদেরকে আইনের আওতায়নে দৃষ্টান্তমূলের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এসব বিষয় জানতে অভিযুক্ত আব্দুল মালেক মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য না অসম্ভব হয়নি।